এখন যাদের জন্য বৃত্তি খুঁজছি

(বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বৃত্তি বছরে ১৯২০০ টাকা)

১) দেলোয়ার হোসেন, ময়মনসিংহ, ১ম বর্ষ, গণিত, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় – সকল পরীক্ষায় GPA-5 পেয়ে ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছে কিন্তু এখন সেটা কন্টিনিউ করতে পারছে না।  বড় পরিবার রেখে বাবা মারা গেছে; সরকারী খাস জমিতে একটি ঘর বানিয়ে থাকে। থাকা খাওয়ার টাকা ম্যানেজ করাও কষ্টকর।ভার্সিটিতে হল নেই, মেসে থাকার অনেক খরচ।

২) রহিম ফকির, নড়াইল, ম্যানেজমেন্ট, JUST, যশোর – বাবা দরিদ্র কৃষক, মায়ের ক্যান্সার হওয়ারপর ওদের সহায় সম্পদ যা ছিল তা বিক্রি করে মায়ের চিকিৎসা করাচ্ছে। এখন মানুষের কাছে টাকা উঠিয়ে চিকিৎসা চলছে। ছেলেটার পড়াশুনা বন্ধ হওয়ার পথে।

৩) রবিউল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ, রসায়ন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়– কৃষক বাবা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ হয়ে পড়ায় সংসার চালানোর মত আর কেও নেই। মা দর্জির কাজ করে, মানুষের কাছ থেকে ধার করে কোন রকমে সংসার চালাচ্ছেন। পড়ালেখার খরচ দেওয়ার কেও নাই।

৪) সবুজ ইসলাম, কুষ্টিয়া, অর্থনীতি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় – ছেলেটি ছোটবেলা থেকে অনেক কষ্ট করে পড়াশুনা করে এসেছে। এখন ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার পর দরিদ্র কৃষক বাবা আর পড়াশুনার খরচ দিতে পারছেন না।

৫) অন্তরা মন্ডল, গোপালগঞ্জ, উদ্ভিদ বিদ্যা, ররিশাল বিশ্ববিদ্যালয় – বাবা অন্যের জমিতে কাজ করে তিন ছেলেমেয়ের পড়াশুনার খরচ দিতে পারেন না। তাঁর শ্বাসকষ্ট জনিত অসুখে তিনি এখন আর আগের মত কাজ করতে পারেন না।  মেয়েটার পড়াশুনা চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে।  

৬) সুমন, শেরপুর, বাংলা, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় – দরিদ্র বাবা শাক-শব্জি আবাদ করে সংসার চালাতেন, তিনি মারা যাওয়ার পর সংসারে আয় করার কেও নাই। ছেলেটির পড়াশুনা চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে।

৭) মামুনুর রশিদ, ময়মনসিংহ, বাংলা, কাজী নজ্রুল বিশ্ববিদ্যালয়- দরিদ্র কৃষক বাবা কোন রকমে ৫ সদস্যের পরিবারের সংসার চালাচ্ছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় সংসারে আয়ের পথ বন্ধ হয়েছে। পড়াশুনা চালানো অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে।   

অন্যান্য

১) আশরাফুল ইসলাম, ঝিনাইদহ, ভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষার্থী – ছেলেটি পড়াশুনায় ভাল, আমাদের বৃত্তি পেত, কিন্তু মোরাল প্যারেন্ট আর বৃত্তি টা কন্টিনিউ করতে পারছে না। এই অবস্থায় ছেলেটা খুব বিপদে পড়েছে, দিন্মুজুর বাবা ঋণের ভারে জর্জরিত। এই টারনিগ পয়েন্টে এসে ছেলেটার পড়াশুনা বন্ধ হওয়ার পথে।

২) বাধন মিনা, ১২শ শ্রেণি, ভিক্টোরিয়া কলেজ, নড়াইল – নিজেদের তেমন কর জমি নাই, কৃষক বাবা অন্যের জমিতে চাষ করে সংসার চালান। টাকার অভাবে দুই মেয়ের অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন। এখন ছেলেটির পড়াশুনার খরচ ও তিনি দিতে পারছেন না। (বছরে ১০৬০০ টাকা)  

৩) খালিদ হোসেন, ৯ম শ্রেনী, বগুলার হাইস্কুল, খুলনা – ছেলেটি ক্লাশে ফার্স্ট বয়, কিন্ত্যু ভ্যান চালক বাবা টিক মত পড়াশুনার খরচ দিতে পারেন না, টিউশনিও পড়তে পারে না।  (বছরে ৮৬০০ টাকা)  

৪) নয়ন, ১০ম শ্রেনী, হরিনারায়নপুর হাইস্কুল, কুষ্টিয়া – ছেলেটি পড়াশুনায় ভাল, সামনে SSC পরীক্ষা, কিন্তু চায়ের দোনানদার বাবা টিউশনির টাকা দিতে পারছেন না।  একটু সহায়তা পেলে ছেলেটি এগিয়ে যেতে পারত।   (বছরে ৮৬০০ টাকা)  

৫) রিফাত বিন সাদিক, ইলেকট্রিক্যাল, ঝিনাইদহ পলিটেকনিক – ছেলেটি বড় হয়ে ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই, পড়াশুনায় ও ভাল; কিন্তু দরিদ্র কৃষক বাবা পড়াশুনার খরচ দিতে পারছে না।   (বছরে ১১৮০০ টাকা)