এখন যাদের জন্য বৃত্তি খুঁজছি (ভার্সিটি)
(বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বৃত্তি বছরে ১৯২০০ টাকা)
১) ইয়াসমিন আরা নিপা, ঝিনাইদহ, ফিসারিজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় – ১০ বছর আগে বাবা মারা গেছেন, তিনি তেমন কোন জমা-জমা রেখে যাননি। মায়ের কোন আয় নেই। এক খালা তাঁর কিন্ডারগার্ডেন এর শিক্ষকতা থেকে আয়ের সামান্য অংশ এদের সংসার চালাতে দেন; তা দিয়ে সংসার চলে না।
২) মাহিম পারভেজ অনয়, মেহেরপুর, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, যশোর বিশ্ববিদ্যালয় – হঠাত করে বাবা মারা যাওয়াতে পরিবারটি বিপদে পড়েছে। পড়াশুনার খরচ দেওয়ার মত কেও নাই। স্বল্প বেতনের টিউশনি দিয়ে চলতে পারছে না; পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়া দিনদিন অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে।
৪) অন্তু পাল, খুলনা, অর্থনীতি, গোপালগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়– সংসারে একমাত্র উপার্জন কারী বাবা ক্যান্সারে আক্রান্ত। তাঁকে নিয়মিত কেমো থেরাপী দিতে হচ্ছে। তাঁর চিকিৎসার টাকা যোগাড় করতে গিয়ে ছেলেটার পড়াশুনা বন্ধ হওয়ার পথে।
৫) বিদ্যুৎ হোসেন, রংপুর, ভেটেনারী, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় – বাবার ছোট একটা মুদি দোকান আছে; সামান্য আয় দিয়ে ৫ সদস্যের সংসার চালাতে পারেন না। ছেলেটি ভাই বোনের মধ্যে বড়; বেশি টিউশনি করতে গিয়ে পড়াশুনায় ক্ষতি হচ্ছে।
৬) শান্ত কর্মকার, মাগুরা, AIS, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় – কিছুদিন আগে বাবা মারা গেছেন; পরিবার এখন দিশে হারা। মা’ইয়ের আলাদা তেমন কোন আয় রোজগার নেই। ছেলেমেয়েদের পড়াশুনা বন্ধ হওয়ার পথে। ছেলেটির পড়াশুনা চালিয়ে নিতে, একটি বৃত্তি খুব দরকার।
৭) শরিফুল ইসলাম, লালমনিরহাট, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় – গত ২০২৩ সালে বাবা হঠাত মারা যান; বসতবাড়ি ছাড়া আর কোন জমি নেই। মা বাড়িতে হাস-মুরগি পালন করে সংসার চালান। বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েও সেটা কন্টিনিউ করা কস্টকর হয়ে দাড়িয়েছে।
৮) নাইমুল ইসলাম, নড়াইল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় – বাবা দরিদ্র কৃষক; বাড়ি থেকে তেমন টাকা পয়সা দিতে পারেন না। ছেলেটি আমাদের বৃত্তি পেত কিন্তু ওর মোরাল প্যারেন্ট আর কন্টিনিউ করতে পারছেন না।
অন্যান্য
এখন যাদের জন্য বৃত্তি খুঁজছি –(স্কুল-কলেজ)
১) নাইমুর রহমান নিশাদ, নিলফামারী, ১২শ শ্রেণি, কারমাইকেল কলেজ – ২০২০ সালে বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে ওদের দুঃসময় শুরু। মা কাপড় সেলাই করে কোনমতে সংসার চালান। ছেলেটি নিজের পড়াশুনা চালানোর পাশাপাশি টিউশনি করে নিজের পড়াশুনার খরচ চালায়। এবার সে ভার্সিটিতে ভর্তি পরীক্ষা দিবে, কিন্তু টাকা পয়সার অভাবে সেটা সম্ভব হচ্ছে না। (বৃত্তি বছরে ১০৬০০ টাকা)
২) রিয়াজুল ইসলাম, ভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষার্থী, শহিদ বুলবুল কলেজ, পাবনা – সকল পরীক্ষায় GPA-5 পেয়ে ছেলেটি এবার ভার্সিটিতে ভর্তি হতে চায়। বাবা ৪ বছর আগে মারা যাওয়ায় বড় বোনের প্রাইভেট পড়িয়ে আয় করা টাকা দিয়ে সংসার চালাতে হয়। এত ভাল রেজাল্ট করেও শুধু টাকার অভাবে ছেলেটির ভার্সিটিতে পড়ার স্বপ্ন এখন ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে। (বৃত্তি বছরে ১০৬০০ টাকা)
৩) আবু সালেহ, পঞ্চগড়, ১১ শ শ্রেণী, ঠাকুরগাঁও কলেজ – ছেলেটি পড়াশুনায় খুব ভাল; SSC পরীক্ষায় উপজেলার মধ্যে ১০ হয়েছে। উন্নতমানের পড়াশুনার জন্য শহরের কলেজে ভর্তি হয়েছে; কিন্তু দরিদ্র কৃষক বাবা খরচ চালাতে পারছে না।বাড়িতে থাকতে অন্যের জমিতে কাজ করে প টিউশনি করিয়ে পড়াশুনার খরচ চালাত, কিন্তু এখানে সেটা সম্ভব হচ্ছে না। (বৃত্তি বছরে ১০৬০০ টাকা)
৪) আব্দুল্লাহ আল মামুন, ১২শ শ্রেনী, নাজিরহাট কলেজ, মাগুরা – বাবা মারা যাবার পর সংসারে আয় করার মত কেও নাই। মায়ের নির্দিষ্ট কোন আয় নেই। ছেলেটির রেজাল্ট ভাল কিন্তু টাকার অভাবে পড়াশুনা বন্ধ হওয়ার পথে। (বৃত্তি বছরে ১০৬০০ টাকা)
৫) শায়েরকুর জামান ইমরান, চুড়াডাঙ্গা, ১১শ শ্রেণি, দরশনা কলেজ – ২০২০ বাবা মারা যাবার পর সংসারে আয় করার মত কেও নাই। মায়ের নির্দিষ্ট কোন আয় নেই। ছেলেটির রেজাল্ট ভাল কিন্তু টাকার অভাবে পড়াশুনা বন্ধ হওয়ার পথে। (বৃত্তি বছরে ১০৬০০ টাকা)
৬) রেজোয়ান বাদশা, ৯ম শ্রেণি, কালুপাড়া স্কুল, রংপুর – ক্লাশে ৫৯ জনের মধ্যে ছেলেটার রোল ৪; বাবা ভ্যান চালক; ঠিক মত পড়াশুনার খরচ দিতে পারেন না। পড়াশুনার করে অনেক বড় মানুষ হওয়ার স্বপ্ন তাঁর; স্বপ্ন পূরণে সহায়তা প্রয়োজন। (বৃত্তি বছরে ৮৬০০ টাকা)
৭) সাইফ হাসান; ৭ম শ্রেনী, পুলুম স্কুল, মাগুরা – বাবা দরিদ্র কৃষক; পড়াশুনার খরচ দিতে পারেন না; ছেলেটি আমাদের বৃত্তি পেত; কিন্তু মোরাল প্যারেন্ট আর কন্টিনিউ করতে পারছেন না। (বৃত্তি বছরে ৮৬০০ টাকা)